খিচুড়ি
খিচুড়ি

খিচুড়ি
|
উৎপত্তি |
উৎপত্তিস্থল |
ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ |
অঞ্চল |
পশ্চিমবঙ্গ, গুজরাট, পাঞ্জাব |
খাবারের বিস্তারিত |
প্রধান উপকরণ |
চাল, বিভিন্ন রকম ডাল, হলুদ গুড়া, মরিচ গুড়া, ধনিয়া গুড়া, আলু, সবজি, মাংস, মুরগি, পেয়াজ। |
ভিন্নতা |
ভুনা খিচুড়ি, নরম খিচুড়ি, সবজি খিচুড়ি |
খিচুড়ি মূলত ডাল-চাল এর সমন্বয়ে তৈরি করা
খাদ্য। ভুনা খিচুড়ি রান্না করার আগে
ডাল-
চালের
মিশ্রণকে ভালভাবে ধুয়ে তেলে পিঁয়াজকুচি, লবণ ও মসলার সাথে ভেজে নিতে
হয়। এরপরে পরিমাণমত পানি দিয়ে বসা ভাত-এর মতো রান্না করতে হয়। অনেকে
না-ভেজে পানিতে চাল, ডাল, তেল, লবণ, মসলা একসাথে দিয়ে খিচুড়ি বসিয়ে দেন।
খিচুড়িতে চাল-ডালের সাথে সব্জী-সেদ্ধ সহ রান্না করলে হয়ে যায় সব্জী
খিচুড়ি। খিচুড়ি বাঙালিদের মাঝে অতি জনপ্রিয় খাদ্য।
নিহারী
নিহারী (
উর্দু
نہاری) পাকিস্তানের একটি জনপ্রিয় খাদ্য। এটি ভারতের মুসলিমদের মাঝেও বেশ
জনপ্রিয়। উর্দু ভাষার নিহার শব্দটির অর্থ সকাল, এই খাবারটি সকাল বেলার
নাস্তাতে খাওয়া হয় বলে এহেন নামকরণ করা হয়েছে।
নিহারী হলো গরু বা ভেড়ার পায়ের রানের মাংশ দিয়ে রান্না করা মসলাযুক্ত ঝোলযুক্ত খাবার। এর চল শুরু হয় শুরুতে
দিল্লীতে।
নিহারী রান্না করার জন্য ভেড়া বা গরুর পায়ের রানের মাংশকে ৬-৮ ঘণ্টা
ধরে হাঁড়িতে করে রান্না করা হয়। এর ফলে মাংশ নরম তুলতুলে রূপ ধারণ করে।
নান রুটি বা লুচির সাথে এটি খাওয়া হয়।
পুরি (খাদ্য)
পুরি দক্ষিণ এশিয়ার অতিজনপ্রিয় একটি খাবার। পুরি মূলত একটি রুটি জাতীয় খাবার যা বিকেলের নাস্তা হিসেবে পছন্দনীয়। এটি
বাংলাদেশ,
ভারত,
পাকিস্তান
সহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে তৈরি হয়ে থাকে। সাধারণত সকালের নাস্তায়,
কিংবা বিকেলে হাল্কা খাবার হিসেবে গ্রহণ করা হয়। তবে অনেক অঞ্চলে পুরি
বিভিন্ন উৎসব উপলক্ষেও খাওয়া হয়, বিশেষ করে হিন্দুধর্ম অনুসারিদের
প্রসাদে অন্যান্য নিরামিষ জাতীয় খাদ্যের সাথে পুরি পরিবেশন করা হয়।
বাংলাদেশের প্রত্যেক অঞ্চলের বেশির ভাগ গলিতেই পুরির দোকান থাকে। সেখানে পুরির সাথে
পিঁয়াজু,
সিঙাড়া,
সমুচা,
বেগুনি প্রভৃতি পাওয়া যায়।
প্রস্তুতি
বিভিন্ন প্রকার পুরি পাওয়া যায়। ডাল পুরি, আলু পুরি, কিমা পুরি
ইত্যাদি। পুরি প্রধানত ময়দা, লবন ও তেল দিয়ে তৈরি হয়। প্রকার ভেদে আলু,
ডাল বা মাংসের কিমা দেওয়া হয়। প্রথমত, ময়দাতে পানি ও তেল দিয়ে ময়ান
তৈরি করা হয়। তারপর সেই ময়ানের ছোট ছোট ভাগ করে ভেতরে সেদ্ধ আলু, ডাল বা
পূর্বে প্রস্তুতকৃত কিমা দেওয়া হয়। অবশেষে বেলনের মাধ্যমে বেলে সেটিকে
বৃত্তাকৃতি দেওয়া হয় এবং ডুবো তেলে ভাজা হয়। পুরির রঙ হালকা কমলার মত
হলে গরম মচমচে পুরির তেল ছাড়িয়ে পরিবেশন করা হয়।
Comments
Post a Comment