ঠাণ্ডা পানিতে গোসলের ৭টি উপকার
বিজ্ঞানীরা
সহনীয় পর্যায়ের উষ্ণ পানিতে গোসল করাটা উত্তম বলে মত দেন। তাই বলে ঠান্ডা
পানিতে (স্বাভাবিক তাপমাত্রা) গোসল করা যে ক্ষতিকর তা কিন্তু নয়। বরং
ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করলে উপকৃত হবেন এমন ৭টি বিষয় দেওয়া হলো। আবার গরম
পানিতে এই ৭টি সুবিধা যে অপকারে পরিণত হবে, তাও কিন্তু নয়।
ঠান্ডা পানিতে গোসলের সুবিধাসমূহ:
১.
দেহের রক্ত প্রবাহমাত্রা বাড়িয়ে দেয়: মানুষের ত্বক ঠাণ্ডা পানির স্পর্শ
পাওয়া মাত্রই সঙ্কুচিত হয়ে আসে। কারণ এসময় ত্বক কিছুটা তাপমাত্রা হারায়।
ফলে রক্ত চলাচল কিছুটা ধীর গতিতে হতে থাকে। আবার এ কারণেই রক্তচাপ বেড়ে যায়
এবং শিরা-উপশিরায় দ্রুত গতিতে ধাবিত হতে থাকে। শেষ পর্যন্ত রক্ত চলাচল আরো
বেড়ে যায়।
২. পুরুষের শুক্রাণু
পরিপূর্ণতা পায়: অনেকেই হয়তো এ তথ্যটি জানেন না। ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করলে
পুরুষের শুক্রাণু বৃদ্ধি পায়। কারণটি হলো, পুরুষের বীজাণু ঠাণ্ডা
তাপমাত্রায় দ্রুত পরিপূর্ণতা লাভ করে। আর তাদের জন্য এ পরিবেশটি দেয় ঠাণ্ডা
পানি। আবার বিপরীতটাও ঘটে। অর্থাৎ, গরম পানি শুক্রাণু বৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত
করে। তবে তা এর জন্মকে বাধাগ্রস্ত করে না।
৩.
সহজাত ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া বৃদ্ধির সুফল: ঠাণ্ডা পানি গায়ে ঢাললে শীত লাগে।
কারণ ত্বক তার স্বাভাবিক তাপমাত্রা হারায়। বাইরের পরিবেশের তাপমাত্রার
সাথে মানাসই হতে তখন দেহ নিজেই তাপ উৎপন্ন করে। এর জন্য কিছু কার্বহাইড্রেট
পোড়াতে হয়। গোটা ঘটনা দেহের সহজাত রাসায়নিক প্রক্রিয়া। আর এই রাসায়নিক
প্রক্রিয়াটিকে সচল রাখা ভাল।
৪.
প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধি করে: রক্তের শ্বেত কণিকা বাড়াতে চাইলে ঠাণ্ডা
পানিতে গোসল করুন। ঠাণ্ডা ত্বক নিজেই তাপ উৎপাদনের সময় অধিক পরিমাণে শ্বেত
কণিকার জন্ম দেয়। আর রক্তের এ কণিকা হলো আপনার দেহের সেনাবাহিনী। যেকোনো
রোগের আক্রমণ ঠেকাতে এরাই যুদ্ধ করে।
৫.
পেশীর ক্ষত নিরাময় করে: পরিশ্রমের সময় পেশীর কাজ হয়। তখন এর সূক্ষ্ম
টিস্যুগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এদের আবার পূর্বের সুস্থতা ফিরিয়ে দিতে
বিশ্রামের দরকার। ঠাণ্ডা পানি পরিশ্রমের পর পেশীকে আরাম দেয়।
৬. দেহের স্বাচ্ছন্দ্য ফিরিয়ে আনে: ঠাণ্ডা পানি মুহুর্তেই দেহে সজীবতা ফিরিয়ে আনে। যাদের ঘুমের সমস্যা হয় তারা উপকার পেতে পারেন।
৭.
অন্যান্য উপকারিতা: পুরনো কিছু ব্যাথা কমে আসতে পারে, চুলকানি দূর হয়,
চুলের স্বাস্থ্য বৃদ্ধি পায়, দেহের অস্বস্তিকর উত্তেজনা প্রশমিত হয় এবং
কিছু স্নায়বিক দুর্বলতা দূর হয়।
সূত্র: ইন্টারনেট
Comments
Post a Comment